Monday, July 11, 2011

টাইমস অব বোম্বের রিপোর্টঃ ঢাকার রাজপথে মুসলিম বাংলা বানানোর লড়াই চলছে

ঢাকার রাজপথে যা চলছে তা হলো মুসলিম বাংলা বানানোর লড়াই। এটা শুধুমাত্র রাজপথের লড়াই নয়, এটা হলো সোনার বাংলাকে একটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পুনপ্রবর্তনের একটি দীর্ঘদিনের লড়াই। বাংলাদেশের পরিচয় কি ইসলামিক হবে নাকি বাংলাদেশী হবে তা নিয়ে ফের সহিংস লড়াই চলছে। ১৯৭১ সালে যখন হিন' বাঙালিরা মুসলিম বাঙালিদের সঙ্গে বৃহৎ বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে যোগ দিতে অস্বীকার করে তখনই বাঙালি জাতীয়তাবাদ বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল। যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে ভারতের অংশ হতে দিতে রাজি হয়েছিলেন তখন তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল। ১০ই জুলাই অনলাইন টাইমস অব বোম্বে’তে এসব কথা বলা হয়েছে। ‘ইসলাম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে আর বলা হয়- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যখন বাংলাদেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে দুই জাতি তথ্য পুনরায় সামনে নিয়ে এসেছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের জায়গা দখল করে বাংলাদেশীইজম। তারা বাঙালিদের ভূখন্ডের সঙ্গে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এই ধারণাকে কলকাতা শেষ করে দেয়। গত ১০ দিনের মধ্যে চারদিনই বাংলাদেশের বেশির ভাগ অংশ অচল হয়ে আছে। রোববার সারা দেশে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল বন্ধ ছিল। ঢাকার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে লাঠিচার্জ করেছে। কমপক্ষে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে থামাতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হামলা করে। এ সময় প্রতিবাদীদের অনেকের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন। পুলিশের মুখপাত্র মাসুদ আহমেদ বলেছেন, রাজধানীতে দায়িত্বে ছিলেন প্রাং ১০ হাজার পুলিশ সদস্য। তাদের সঙ্গে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেটদের, যারা স্পট থেকে অপরাধীকে জেল দিয়েছেন। বাংলাদেশে একটি আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ঢেউকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের সংবিধানে ‘আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা’ এই কথাগুলো পুনর্বহালের দাবিতে রোববার বাংলাদেশী দেশপ্রেমিক ও ইসলামিক কর্মীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করার সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। সর্বশেষ কারচুপির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এটাই ছিল রাজপথে এতবড় বিক্ষোভ। ঠুনকো অজুহাতে ওই নির্বাচনে বিএনপির ১ কোটি ৪০ লাখ ভোটকে বাতিল করা হয়। ঢাকার পাশেই শিল্পনগরী বলে পরিচিত ফতুল্লা ও কাচপুরে ভারত বিরোধী ও সরকারি বিরোধীদের  বিক্ষোভে বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং অন্য ধর্মীয় দলগুলো (ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং দাবি করেন তাদের শতকরা ২৫ ভাগ ভোট রয়েছে) রোববার সকাল থেকে হরতাল আহ্বান করে। সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর অবিচল আস'ার বিষয়টি বাদ দেয়ার প্রতিবাদে এই হরতাল আহ্বান করা হয়। এই বিষয়টিকে সংবিধানের মূল স্তম্ভ বলে ধরা হয়। ফতুল্লাহয় রয়েছে বিশ্ব বাজারের কয়েক শত কাপড়ের কারখানা। সেখানে হরতাল চলাকালে হরতালকারীরা পুলিশের দিকে ইট নিক্ষেপ করে, রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে কয়েক ঘন্টা সেখানে লড়াই হয় তাদের। কাচপুরে বাংলাদেশ পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস চোড়ে ভারত বিরোধী ও সরকার বিরোধীদের বিক্ষোভে। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম সংযোগ সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করেছিল। ভারতপনি'রা, তথা ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গত মাসে জাতীয় সংবিধানকে ১৯৭২ সালের আলোকে ধর্মনিরপেক্ষ করে। কিন' সান্তনা পুরস্কার হিসেবে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পুনর্বহাল করা হয়েছে।



সোমবার, ১১ জুলাই ২০১১

No comments: